বিসিএস প্রস্তুতি যেভাবে শুরু করবেন | প্রস্তুতির গাইডলাইন |

আপনি জানেন কি, বাংলাদেশের বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সব থেকে বেশি পরীক্ষার্থী ফেল করেন? সঠিক প্রস্তুতির অভাবে প্রিলি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৯০% থেকে ৯৫% পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেন না। আসন্ন বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য এই প্রস্তুতি গাইডলাইন আপনার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমরা আপনাকে বলব, বিসিএস প্রস্তুতি কোথা থেকে শুরু করবেন এবং কিভাবে এগিয়ে যাবেন।



বিসিএস প্রস্তুতির ধাপ

বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে একটি পরিকল্পিত প্রস্তুতি নিতে হবে। নিচে উল্লেখিত ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

  1. সিলেবাস বোঝা: পিএসসির বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস ভালোভাবে বুঝে নিন।
  2. বিগত প্রশ্ন পর্যালোচনা: বিসিএস জব সল্যুশন বা প্রশ্ন ব্যাংক থেকে বিগত সালের প্রশ্নগুলো দেখুন।
  3. দুর্বলতা চিহ্নিত করুন: যে বিষয়গুলোতে দুর্বলতা আছে এবং যেগুলোতে দক্ষতা আছে, সেগুলো চিহ্নিত করুন।
  4. পড়ার পরিকল্পনা: কোন টপিকগুলো পড়তে হবে এবং কোনগুলো বাদ দিতে হবে তা জানুন। একটি রুটিন তৈরি করুন।
  5. বুকলিস্ট তৈরি: বিসিএস প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় বইয়ের তালিকা তৈরি করুন।
  6. ইংরেজি ও গণিতের প্রস্তুতি: ইংরেজি এবং গণিতের বিষয়গুলোতে গভীরভাবে প্রস্তুতি নিন।
  7. মডেল টেস্ট: পড়ার পাশাপাশি মডেল টেস্ট দিয়ে নিজের প্রস্তুতি যাচাই করুন।
  8. কৌশলগত উপায় অবলম্বন করুন: কার্যকরী কৌশল অবলম্বন করুন, শর্টকাট পরিহার করুন।
  9. রিভিশন সার্কেল: পড়া বিষয়গুলোকে পুনরায় রিভিশন করুন।
  10. স্টাডি গ্রুপ: সমমনা পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে স্টাডি গ্রুপ গঠন করুন।

অনার্স থেকে বিসিএস প্রস্তুতি

যদি আপনার লক্ষ্য বিসিএস ক্যাডার হন, তবে ছাত্র জীবন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করুন। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে সময় বেশি থাকে, তাই এই সময়টা খুব উপযুক্ত। শিক্ষাজীবন শেষে বিসিএস প্রস্তুতি শুরু করলে বিভিন্ন প্রতিকূলতা হতে পারে, কিন্তু অনার্সের সময়কাল ব্যবহার করে আপনি প্রস্তুতি নিতে পারেন।

বিসিএসে আবেদনের যোগ্যতা

চার বছরের অনার্স পাস হলে জেনারেল ক্যাডারে আবেদন করতে পারবেন। তিন বছরের পাস কোর্সে পড়লে মাস্টার্স পাস হতে হবে। মাস্টার্স পরীক্ষা সদ্য শেষ হলে অ্যাপিয়ার্ড সার্টিফিকেট দিয়েও আবেদন করা যায়।

বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি

বিসিএস পরীক্ষা তিনটি ধাপে হয়:

  1. প্রিলিমিনারি পরীক্ষা: ২০০ নম্বরের নৈর্বক্তিক (MCQ) পরীক্ষা।
  2. লিখিত পরীক্ষা: ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা, যেখানে গড় পাস নম্বর ৫০%।
  3. মৌখিক পরীক্ষা: ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা, যেখানে পাশ নম্বরও ৫০%।

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর যোগ করে চূড়ান্ত নিয়োগের বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়। সুতরাং, আপনার প্রস্তুতি যত ভালো হবে, ক্যাডার পাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে। বিসিএস সিলেবাস ভালোভাবে জেনে নিয়ে প্রস্তুতি নিন।

আপনার সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিন এবং লক্ষ্যে অবিচল থাকুন!


#বিসিএস, #বিসিএসপ্রস্তুতি, #বিসিএসপরীক্ষা, #বাংলাদেশ, #পরীক্ষারপরিকল্পনা, #বিসিএসসিলেবাস, #মডেলটেস্ট, #বিসিএসযোগ্যতা, #স্নাতকপরীক্ষা, #সরকারিকর্ম, বিসিএস, বিসিএস প্রস্তুতি, বিসিএস পরীক্ষা, বিসিএস সিলেবাস, মডেল টেস্ট, লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা, প্রস্তুতির গাইডলাইন, অনার্স থেকে বিসিএস, বাংলাদেশ সরকারি চাকরি,

মন্তব্যসমূহ