কাউস মিয়া হাকিমপুরী জর্দার প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তার ব্যবসায়িক যাত্রা ১৯৫০ সালে শুরু হয়, যখন তিনি মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাঁদপুরের পুরান বাজারে একটি মুদিদোকান খুলেন। শুরুতে এটি একটি সাধারণ দোকান ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট, বিস্কুট এবং সাবানের এজেন্ট হয়ে ওঠেন।
তামাক ব্যবসায় প্রবেশের পর তার মাথায় আসে জর্দা উৎপাদনের কথা। প্রথমে 'শান্তিপুরী জর্দা' নামে একটি পণ্য বাজারে আনেন, কিন্তু নকল পণ্যের কারণে সেটি সফল হয়নি। ফলে, ১৯৯৬ সালে তিনি 'হাকিমপুরী জর্দা' নাম দিয়ে নতুন করে শুরু করেন, যা পরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। হাকিমপুরী নামটি সহজ উচ্চারণের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল।
কাউস মিয়ার ব্যবসায়িক সাফল্য তার কর প্রদানের পরিমাণেও প্রতিফলিত হয়। তিনি ১৯৫৮ সালে প্রথম কর প্রদান করেন এবং বর্তমানে তার বার্ষিক করের পরিমাণ ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকা।
তার সম্পদের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য—বিভিন্ন ব্যবসা এবং জায়গাজমির সম্মিলনে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা। কাউস মিয়া বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিমণ্ডলে একটি স্বতন্ত্র নাম, এবং তার উদ্যোগ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
হাকিমপুরী জর্দার ক্ষতিকারক দিক গুলি কি কি ?
হাকিমপুরী জর্দা বা যেকোনো ধরনের তামাকজাত পণ্যের কিছু ক্ষতিকারক দিক রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
স্বাস্থ্য সমস্যা: জর্দা ব্যবহারের ফলে মুখ, গলা, এবং ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে, যেমন ক্যান্সার, দাঁতের ক্ষতি, এবং অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগ।
নেশার সমস্যা: জর্দায় নিকোটিন থাকার কারণে এটি নেশাসৃষ্টিকারী। এর ফলে ব্যবহারকারীরা দ্রুত আসক্ত হয়ে যেতে পারে।
পুষ্টিহীনতা: দীর্ঘদিন জর্দা ব্যবহারের ফলে মুখের স্বাস্থ্য খারাপ হয়, যা খাবারের প্রতি আগ্রহ কমাতে পারে এবং পুষ্টিহীনতার কারণ হতে পারে।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব: জর্দার আসক্তি অনেক সময় সামাজিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক অবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করে।
গর্ভাবস্থায় প্রভাব: গর্ভবতী নারীদের জন্য জর্দা ক্ষতিকারক হতে পারে, যা শিশুর স্বাস্থ্যের উপর негатив প্রভাব ফেলতে পারে।
এছাড়া, জর্দা ব্যবহারের ফলে আশেপাশের মানুষের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ এর ধোঁয়া এবং ক্ষতিকর উপাদানগুলো পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে।
আমিও কি তাহলে এই ব্যাবসা শুরু করবো নাকি 😜😜
উত্তরমুছুনgood post
উত্তরমুছুন