সুন্দর ও গোছানো ঘরদোর সবসময় প্রত্যেকেরই কাম্য। একটি পরিচ্ছন্ন এবং গুছানো ঘর কেবল চোখে ভালো লাগে না, বরং মানসিক শান্তিও প্রদান করে। কাজের শেষে বিশ্রাম নিতে গিয়ে অগোছালো পরিবেশ নিশ্চয়ই ভালো লাগবে না। তাই চলুন দেখি কীভাবে ঘরকে সুন্দরভাবে গোছানো যায়:
১. জুতার জন্য চাকা লাগানো র্যাক
জুতা রাখার জন্য একটি চাকা লাগানো র্যাক ব্যবহার করুন। এটি সহজেই সরানো যায় এবং ধুলো পরিষ্কার করতে সুবিধা হয়। কাঠের বা মেটালের ফাঁকা শু র্যাকে আপনার জুতা রাখুন, যাতে বাতাস চলাচলে সুবিধা হয়। প্রতিদিনের ব্যবহারের জুতাগুলো সামনের দিকে রাখুন এবং বিশেষ অনুষ্ঠানের জুতাগুলো আলাদা জায়গায় রাখুন। এতে খুঁজে পেতে সহজ হবে।
২. ড্রইংরুমের কফি টেবিল
ড্রইংরুমের কফি টেবিলের নিচে সাধারণত ড্রয়ার থাকে। ওপরে টিভির রিমোট এবং কিছু ম্যাগাজিন রাখতে পারেন। টেবিলে খুব বেশি জিনিস জড়ো করবেন না, বরং স্ন্যাকস বা চা-কফি সার্ভ করার জন্য এটি ব্যবহার করুন।
৩. ডাইনিং টেবিলের ব্যবহার
ডাইনিং টেবিলকে শুধু খাওয়ার জন্য ব্যবহার করুন। প্রতিদিনের ব্যবহারের বাসন, গ্লাস, মগ, এবং ছুরি-কাঁটা চামচ টেবিলের পাশে রাখা ব্যবস্থা করুন। এতে টেবিল সবসময় পরিষ্কার থাকবে।
৪. রান্নাঘরের ব্যবস্থা
রান্নাঘরের বাইরের কোনো ঢাকা শেলফে রুটি মেকার, টোস্টার, এবং মিক্সার রাখার ব্যবস্থা করুন। রান্নার সময় এগুলো বের করে কাজ করুন এবং পরে আবার ঢুকিয়ে রাখুন। ধোয়া বাসন কোথাও উপুড় করে রাখলে জায়গা নষ্ট হবে, তাই সিঙ্কের সামনের ফাঁকা জায়গায় স্টিলের দেয়াল তাক ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। এতে কিচেন কাউন্টারও ফাঁকা থাকবে।
৫. বাথরুমের সাজসজ্জা
বাথরুমে দেয়াল র্যাক লাগিয়ে নিন। গোসল ও মুখ ধোয়ার জিনিসগুলো আলাদা তাক রাখুন। টুথপেস্ট, টুথব্রাশ এবং মাউথওয়াশ আরেকটে রাখুন। এর ফলে ব্যবহারে সুবিধা হবে।
৬. বারান্দার ব্যবস্থা
বারান্দায় ভিজে কাপড় মেলা ও শুকানোর জন্য দুটি আলাদা বাস্কেট রাখুন। এটি আপনার কাজকে সহজ করবে এবং পরিবেশকে গোছানো রাখবে।
উপসংহার
ঘরকে সুন্দর এবং গোছানো রাখতে এই ছোট কিন্তু কার্যকরী টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন। একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশে শান্তিতে থাকা যাবে, যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন