রান্না করতে গিয়ে প্রায় সবাই একবার বা একাধিকবার আগুনের ছ্যাঁকা খান। কখনো এই পোড়া সামান্য হয়, আবার কখনো গুরুতর। ছোটখাটো পোড়ার ক্ষেত্রে, যেমন ছ্যাঁকা লাগা, ফোসকা হওয়া বা চামড়া ছিলে যাওয়ার চিকিৎসা আপনি সহজেই বাড়িতে করতে পারেন। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
১. সরিষা
সরিষা বীজে থাকা অ্যালাইল আইসোথিওসায়ানেট ব্যথা কমাতে ও রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।
ব্যবহার পদ্ধতি:
- ১ টেবিল চামচ সরিষা বীজের সঙ্গে ১/২ টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
- পোড়া স্থানে লাগিয়ে ৩ বার ব্যবহার করুন।
২. অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা প্রদাহ কমায় এবং ক্ষত দ্রুত সারাতে সাহায্য করে।
ব্যবহার পদ্ধতি:
- ১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল নিন।
- সমানভাবে লাগিয়ে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।
৩. মধু
মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক, যা পোড়া ক্ষতকে সংক্রমিত হতে দেয় না এবং জ্বালাপোড়া কমায়।
ব্যবহার পদ্ধতি:
- ২ চা চামচ মধু নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান।
- দিনে ৩ বার প্রয়োগ করুন।
৪. টুথপেস্ট
মিন্টযুক্ত টুথপেস্ট পোড়া অংশের ব্যথা কমায় এবং ক্ষতকে মসৃণ করতে সাহায্য করে।
ব্যবহার পদ্ধতি:
- মিন্টযুক্ত সাদা টুথপেস্ট নিন।
- ক্ষত স্থানটি ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে পেস্ট লাগান এবং ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দিনে ৩ বার করুন।
৫. টি-ব্যাগ
টি-ব্যাগের টনিক অ্যাসিড পোড়া স্থানের তাপ কমায় এবং ব্যথা উপশম করে।
ব্যবহার পদ্ধতি:
- ২-৩টি ব্যবহৃত টি-ব্যাগ নিন।
- ঠান্ডা ও ভেজা টি-ব্যাগটি আক্রান্ত স্থানে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। দিনে ২ বার করুন।
৬. দুধ
দুধে জিঙ্ক ও প্রোটিন থাকে, যা পোড়া ক্ষত শীতল করতে সাহায্য করে।
ব্যবহার পদ্ধতি:
- ১/৪ কাপ ঠাণ্ডা দুধ তুলোর মধ্যে নিয়ে ক্ষত স্থানে লাগান।
- ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্যথা না কমা পর্যন্ত প্রতি ২ ঘণ্টায় করুন।
উপসংহার
এই ঘরোয়া চিকিৎসাগুলি পোড়া সামান্য অবস্থায় কার্যকর হতে পারে। তবে, গুরুতর পোড়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিরাপদ থাকুন এবং সতর্কতার সঙ্গে রান্না করুন!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন